করোনা এসেছে......


ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নামটা এখন অতি পরিচিত একটি নাম।
আলোচিত বা সমালোচিত যে দিকেই হোক।
গত ১৮ এপ্রিল রোজ শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল ইদের জামাত।কি অবাক হচ্ছেন?অবাক হবার ই বিষয় আমি ও অবাক হয়েছি।সবাই দলে দলে সে জামাতে অংশগ্রহণ করেন।কাধে কাধ মিলিয়ে তারা নামাজ পড়েন।
এত কথা কেন,আসল কথায় আসি।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় একজন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা যোবায়ের আহমেদ আনসারী ইন্তেকাল করেন এবং তার জানাজায় শত শত মানুষের আগমন ঘটে।এটা অন্য সময় হলে কিছুই হতো না।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তে এটা মোটেও গ্রহণ যোগ্য নয়।
#জানাজা মুসলমান অর্থাৎ ইসলাম ধর্মামলম্বীদের জন্য ফরযে কেফায়া বা সমাজের জন্য আবশ্যকীয় দায়িত্ব অর্থাৎ কোনো মুসলমানের মৃত্যু হলে মুসলমান সমাজের পক্ষ থেকে অবশ্যই জানাযার নামাজ পাঠ করতে হবে। তবে কোনো এলাকা বা গোত্রের পক্ষ থেকে একজন আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায়।
#ফরযে কেফায়া কিঃযার মধ্যে কর্মীর পরিবর্তে কর্ম গ্রহণ করা উদ্দেশ্য হয়। যদি কারও দ্বারা কাজটি সম্পাদন করা হয়ে যায়, তাহলে আইন বা ফরযটির বাধ্যবাধকতা সবার উপর থেকে রহিত হয়ে যায়। যেমন: নামাজের জানাজা, সৎ কাজের আদেশ, শরিয়তের জ্ঞান অর্জন ইত্যাদি।
#ফরযে কেফায়ার অর্থ হলো- একটি জাতি বা কোন দলের কিছু লোক যদি এই ফরযটি আদায় করে নেয়, তবে অন্যান্য মুসলমানরা এর দায় থেকে মুক্ত হয়ে যায় এবং যদি কেউ তা না করে তবে তারা সকলেই দোষী বা গুনাহগার হয়।

যেখানে কিছু মানুষের দ্বারা জানাজা সম্পন্ন হতো সেখানে এতো মানুষের আগমন।নাকি তারা ভেবেছে তার জানাজা নামাজ পড়লে করোনা তাদের কে ধরবে না।এটা বলার কারণ, এদেশের মানুষ এগুলোর প্রতি বিশ্বাস রেখে পড়ে থাকে।তারা ধর্মের কথার থেকে মানুষের প্রতি বেশি বিশ্বাস রাখে।
তাদের প্রতি কিছুই বলার নেই কারন তারা অন্ধ।তারা দেখে না বর্তমান পৃথিবীর অবস্থা। যখন চীন আক্রান্ত হলো তখন কিছু মানুষ বললো খারাপদের ধ্বংস হোক,যখন ইউরোপ দেশগুলোতে হলো তখন তারা কাফের তাদের মৃত্যু হওয়া উচিত।কিছু লোক বললো এটা মুমিনদের হয় না।এখন আমাদের ধরলে তারাই বলে এটা আমাদের জন্য পরীক্ষা।হ্যা আমি মানছি এটা আমাদের জন্য পরীক্ষা,আমাদের সবার এক সাথে কাজ করতে হবে তবেই আমরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবো।না হয় একজনের ভুলে আমরা সবাই নিঃশেষ হয়ে যাবো।

স্যোসাল মিডিয়ায় দেখা যায়;"আমাদের জন্য মসজিদ খুলে দিন,পাকিস্তানের মতো।"ভাই পাকিস্তানের দিকে তাকাও,
আজ রবিবার সরকারী তথ্য মতে,
পাকিস্তানে সাত হাজার সাতশত তিয়াত্তর জন করোনা রোগী এবং মৃত্যু একশত আটচল্লিশ জন।
আর আমাদের দেশে,
বাংলাদেশে দুই হাজার চারশত ছাপ্পান্ন জন করোনা রোগী এবং মৃত্যু একানব্বই জন।
চিন্তা নেই তোমাদের এরুপ কার্যকালাপের জন্য আমরা পাকিস্তান কেও ছাড়িয়ে যাবো।

#বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভাইরাসটি হয়তো মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতিমধ্যেই 'মিউটেট করছে' অর্থাৎ গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে - যার ফলে এটি আরো বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
এটি অত্যন্ত দ্রুত ছড়াতে পারে এবং বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে এ ভাইরাস একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে।
এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেক জনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ।
#লক্ষণগুলো কতটা মারাত্মক?

জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, এরপরে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়।

এখন পর্যন্ত এই রোগে মারা যাওয়ার হার কম (১% থেকে ২% এর মধ্যে) - তবে এই পরিসংখ্যান পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ইউরোপের কোন কোন অঞ্চলে এখন অধিক মৃত্যুহারও দেখা যাচ্ছে।
৫৬ হাজার আক্রান্ত রোগীর উপর চালানো এক জরিপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে:
এই রোগে ৬% কঠিনভাবে অসুস্থ হয় - তাদের ফুসফুস বিকল হওয়া, সেপটিক শক, অঙ্গ বৈকল্য এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হয়।
১৪% এর মধ্যে তীব্রভাবে উপসর্গ দেখা যায়। তাদের মূলত শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়।
৮০% এর মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা যায় - জ্বর এবং কাশি ছাড়াও কারো কারো নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
বয়স্ক ব্যক্তি এবং যাদের কোনো ধরণের অসুস্থতা রয়েছে (অ্যাজমা, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ) তাদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীন থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে জানা যায় যে, এই রোগে নারীদের চেয়ে পুরুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা সামান্য বেশি।

পরিশেষে,আমরা ঐ স্রস্টার ইবাদত করি যে আমাদের আল্লাহ।
তিনি সর্বস্থানে বিদ্ধমান।তাই ঘরে বসে ইবাদত করলেও হবে।
আমরা যে আল্লাহর ইবাদত করি সে কোন স্থানের সাথে সম্পর্কিত নয়। মসজিদে গেলেই যে আল্লাহকে পাওয়া যাবে এ কথা বিশ্বাস পাপ।
#আমরা আমাদের ঘরকে মসজিদ বানাই আর আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকি।নিজ নিজ ঘরে থাকি নিজের জন্য না হলেও তোমার পাশের মানুষটার জন্য।


#শাকিল









Comments

Popular Posts