Princess (রাজকন্যা)



Princess (রাজকন্যা)
     Part-1 (পর্বঃ১) 

ছেঁড়া কাঁথার স্বপ্নঃ


সে শুধু স্বপ্নেই আসে,বাস্তবে নয়।আমি যতবার তার ঐ হাঁসিউজ্জল মুখখানি দেখেছি,ঠিক ততবার-ই তার প্রেমে পড়েছি।তাকে একএক জন একএক নামে ডাকে কিন্তু সে আমার কাছে আমার Princess মানে রাজকন্যা।আমি আমার নিজের থেকেও বেশি;তাকে ভালবাসি।কখনো ভাবিনি কোন মেয়ের প্রেমে পড়বো কিন্তু ওকে দেখা মাত্র মনে হলো আমি তো ওর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
আমার সাদা-সিধে জীবনটা বদলে গেল সাত রঙ্গের রংধনু-তে।
কি চেয়েছিলাম জীবনে?আর কি পেয়েছি।

ঢাকার অদূরে বড় এক এলাকায় ছিল আমার বসবাস।বাবা ছিল সরকারী চাকুরীজিবি,বড্ড সাদা-
সিধে গরনের একজন মানুষ।মাথায় চাপা ছিল তিন-
চার লক্ষ টাকার ঋণ,সবকিছু বলতে আমরা ছিলাম
মধ্যম আয়ের এক পরিবার।পৃথিবীর সবচেয়ে অভাগা পরিবারগুলো কারা জানেন?এই মধ্যম
আয়ের পরিবার গুলো, কারন;এদের আত্নসম্মানবোদ অনেক বেশি।এরা না পারে কারো
কাছে হাত পেতে চাইতে,না পারে নিজের টাকায়
শান্তি করতে।এই মধ্যম আয়ের মানুষগুলো সারা-
জীবন শরীরের ঘাম পায়ে ফেলে জীবন কাটায়।

এরা অধির অপেক্ষায় দিন কাটায় বৃদ্ধ কালের জন্য,
যদি ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে কিছু একটা করে।আর আমি এমন-ই এক পরিবারের ছেলে।এ ছেলেটি
সর্বদা দিবা স্বপ্ন দেখতে ব্যস্ত থাকে,তার প্রত্যেকটা
স্বপ্নের দাম কোটি টাকা;কিন্তু এ স্বপ্ন বিক্রি হবার নয়।
ছেলেটি লিখতে ভালবাসে কিন্তু তার লেখা পড়ার
মতো কেউ নেই।কেউ নেই বলতে,কেউ পড়ে না।
ও..না. ছেলে বলছি কাকে? ছেলেটি তো আমিই নাকি?
ছেলেবেলায় আমায় ভালবাসেনি,এমন মানুষ
খুজে পাওয়া মুশকিল।যত বড় হয়েছি তত ভালবাসাগুলো ফিকে হয়ে গিয়েছে।
বাবা-মার ইচ্ছা ছিল,ছেলে প্রকৌশলী হবে।
তাই বিজ্ঞান নিয়েই লেখা-পড়া করেছি।লেখা-পড়ায়
ভাল ছিলাম তা কিন্তু নয়,কিন্তু বড্ড বেশি আত্নবিশ্বাস ছিল।আমি কখনো কারো কাছে ছোট
হতে চাইতাম না,কিন্তু ভাগ্যের লীলা সেটা অনেক
বার-ই হয়েছে।সারাটা দিন ভাবতাম বড় হলে কি হবো,আর যা করি কিন্তু সরকারী চাকরী কখনো
করছি না।আমার ভাবনাগুলো ছিল এলো-পাথারী,
কখনো এই তো কখনো ঐ।মাঝে মাঝে চিন্তা করি
মানুষের জীবন বিশাল এক চিত্রনাট্য,পৃথিবীতে
প্রায় ৩০০কোটির ও বেশি মানুষ আছে তার মানে
৩০০ কোটি চিত্রনাট্য।এ চিত্রনাট্য নিয়ে মুভি করতে
গেলে কখনো কাহিনিতে কমতি পরবে না।
তাই মাঝে মাঝে নিজেকে মুভি মেকার হিসাবে
আবিষ্কার করতাম।শেষকথা বলা যায়,আমি ছেঁড়া
কাথায় কোটি টাকার স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করতাম।
(কিন্তু..আমার তো কোন ছেঁড়া কাঁথা-ই নাই।)




                                                                চলবে.......


Comments

Popular Posts